সরকারি তিতুমীর কলেজ রিপনের মন্তব্য :
সরকারি তিতুমীর কলেজ রিপনের মন্তব্য :
গ্রামের সাধারণ ও নরম মনের মানুষের মাঝে থেকে ইন্টারমিডিয়েট শেষে দু চোখ ভরা অগনিত স্বপ্ন নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কংক্রিটের ও কঠিন বাস্তবতার শহর ঢাকায় আসেন কয়েক লাখ শিক্ষার্থী।
ভার্সিটিতে প্রথম কয়েকদিনগুলোতে নতুন বন্ধুুদের সাথে ক্যাম্পাসের আড্ডায় জমে থাকলেও, দিনবদলের সাথে সাথে নতুন নতুন সব শব্দ, নতুন নতুন সব অভিজ্ঞতার সাথে পরিচিত হতে হয়। বই, খাতা, কলমের সাথে যোগ হয় থাকা,খাওয়া,ইনকোর্স- সেমিস্টার ফাইনাল এক্সাম বিল, ও পকেটম্যানিসহ প্রতিমাসে আনুমানিক ৮-১২০০০ টাকা ম্যানেজ করা। দিনের আলোতে ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা হৈ-হুল্লোড়ে সময় পার হলেও, রাতে বিছানায় ছটপটে নিদ্রাহীন ম্যানি সোর্সের চিন্তায়। সমাধান পার্টটাইম জব, টিউশন!! এমন ও কেউ কেউ আছে ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে মেইল চেক করেন, ইনবক্স খুলে দেখেন অফিসের বস যেতে বল্লেন কিনা - কারো বা ক্লাসের ঘন্টা বাঁজার পূর্বেই বেঁজে যায় ডিউটির ঘন্টা!! কারো কারো সময় পেরুয় এইগলি -ঔইগলি ঘুরে কম টাকার বাসার কোনো নোটিশ দিলো কিনা!! কারো কারো জুতোর ক্ষয় করে ফেলে এই অফিস ওই অফিস সিভি নিয়ে ঘুরে!!
উচ্চশিক্ষার এই প্লাটফর্মে আমাদের বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীদের জীবনটাই উপরোক্ত কথাগুলোর মতোই, খুব কম জনের দেখা মিলে ব্যতিক্রম।
এসএসসি - এইচএসসি তে বইয়ে পড়া জীবন শব্দটির অর্থ যা পড়েছি জীবন আসলো এতটা সহজ নন, উচ্চশিক্ষার এই প্লাটফর্মে জীবনের সংজ্ঞা-- কঠিন কঠিন বাস্তবতা,প্রতিনিয়ত যুদ্ব করে যাওয়া নিজের সঙ্গে।
উপরোক্ত কথাগুলোর সাথে বাস্তব জীবনে মিলে যাওয়া প্রতিটি বন্ধু -বড়ভাইবোনদের প্রতিটি যোদ্ধাদের জন্য শ্রদ্ধা ভালোবাসা ও শুভকামনা।
প্রত্যেকে তাদের স্বপ্নছুয়ে বলুক, আমি পেড়েছি - জীবনের এই যুদ্ধে জয়ী হতে।
সরকারি তিতুমীর কলেজ।
দর্শন বিভাগ।
অনার্স ১ম বর্ষ।

কোন মন্তব্য নেই
thanks you